নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর ছনখোলা এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বহু মামলার আসামী চিহ্নিত সন্ত্রাসী লাল বাহাদুর ও তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার আন্জুমান আরা আন্জু সহ একদল ভূমিদস্যু।
গত ১৬ জুন (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ১০ থেকে ১৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমি দখলে নিতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত করে।
খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এনিয়ে যে কোন সময় দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছে এলাকাবাসী।
জমির প্রকৃত মালিকগন বলেন,পিএমখালীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী লাল বাহাদুর ও তার স্ত্রী ১,২,৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আন্জুমান আরা আন্জু কিছুদিন আগে আমাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, আমরা দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃত জানালে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার হুমকি দেয়।এরি ধারাবাহিতায় গতকাল লাল বাহাদুর ও তার স্ত্রী আন্জুমান আরা আন্জু, কলিমুল্লাহ প্রকাশ খুইল্যা মিয়া,এখলাস মিয়ার ছেলে মুজিব,সাবেক মেম্বার রমজান আলী সহ একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে দিনদুপুরে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে।আমরা বাঁধা দিতে গেলে লাল বাহাদুর আমাদের উদ্দেশ্যে দুই রাউন্ড গুলি করে,এবং কেউ সামনে আসলে প্রাণের মারার হুমকি দেয়।
জমির মালিকগন আরও বলেন, আমাদের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত এ জমি আমরা দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। সাম্প্রতিক সময়ে হামলাকারি সন্ত্রাসীরা জমিটি জবরদখলের অপচেষ্টা শুরু করে।জমি দখলকারীরা দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নুরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান এর জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। এসময় হামলাকারিরা জমির সীমানা, ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে।সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে।সংবাদে হারুন নামের যে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়ছে, তিনি আমাদের ফুফাতো ভাই।ঘটনার দিন হারুন আমাদের উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে মীমাংসা করার জন্য এসেছিল।সন্ত্রাসীরা উল্টো তাকে ভূমিদস্যু বানিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন- জমির মালিক নুরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান, তারা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। যারা জবর-দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা প্রভাব কাটিয়ে জোরপূর্বক সন্ত্রাসী নিয়ে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রহিম উল্লাহ নামক স্হানীয় এক ব্যক্তি বলেন,
মৃত হাসান শরীফ এর দুই ছেলে নুরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান,এই দুইজনের ওয়ারিশ আবু সৈয়দ,আবু তাহের,মোহাম্মদ মোবারক ও সালাহ উদ্দিন।তারা উত্তরাধিকার সূত্রে এই জমির প্রকৃত মালিক।হঠাৎ কিছু সন্ত্রাসী তাদের জমি দখলে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার তাদের জমি রক্ষা সহ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপার সহ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করেছেন।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/শিরিন আলম